আ হ ম মুস্তফা কামাল |
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীর
কার্যালয়ে তাঁর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি
ডিরেক্টর (বাংলাদেশ-ভুটান) মার্সি টেম্বন। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের কাছে
অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার
আহমেদ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক আমাদের উন্নয়ন-সহযোগীদের
মধ্যে অন্যতম। সংস্থাটির সহযোগিতায় আমাদের অনেক প্রকল্প চলমান। বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশে আরও প্রকল্পে অর্থায়নে প্রস্তুত। বাংলাদেশের যত অর্থের দরকারই
হোক না কেন, বিশ্বব্যাংক তা দেবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে গত এপ্রিলে বিশ্বব্যাংক ও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বসন্তকালীন বৈঠকের সময় বিশ্বব্যাংক
বাংলাদেশকে অনেক সম্মান দেখিয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানান অর্থমন্ত্রী।
বলেন, এমনকি পূর্ণ সময়ের জন্য বাংলাদেশকে একটি কার্যালয়ও দিতে চেয়েছে
সংস্থাটি। বিষয়টা অনেকটা ‘ব্লাঙ্ক চেক’ দেওয়ার মতো। তাদের মনোভাবটা ছিল
তোমাদের যা দরকার নিয়ে নাও।
মুস্তফা কামাল বলেন, নেদারল্যান্ডসের পাশাপাশি ব-দ্বীপ
পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বিশ্বব্যাংকও এগিয়ে আসবে। যদি ভারতও আসতে চায়, স্বাগত
জানানো হবে। সম্ভাবনাময় খাতগুলোকে কাজে লাগাতে নেওয়া হবে বিশ্বব্যাংকের
পরামর্শও।
সড়ক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সব ধরনের
কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা দেবে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, সড়কে যাত্রী
ওঠা-নামার জায়গা বা স্টপেজ এবং সড়কের পাশে চালকদের জন্য বিশ্রামাগারসহ নানা
উন্নয়নে সরকার যে কাজ করছে, বিশ্বব্যাংক এগুলোর প্রশংসা করেছে। তবে
সংস্থাটি সড়ক নিরাপত্তায়ও বাংলাদেশকে একটি মডেল দেশ হিসেবে দেখতে চায়।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ২০০৭
সালে তিনি প্রথম বাংলাদেশে এসেছিলেন। তখনকার বাংলাদেশ ও এখনকার বাংলাদেশের
মধ্যে অনেক পার্থক্য। তিনি বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং করতে
এসেছেন বলেও জানান।
আগামী মাসের মাঝামাঝি ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠেয় বিশ্বব্যাংকের
বার্ষিক সভায় বাংলাদেশের অজানা সাফল্যের কাহিনি বিশ্ব দরবারে তুলে ধরবেন
বলেও জানান মার্সি টেম্বন। বলেন, ‘আমি চেষ্টা করব বাংলাদেশ যেন ভালো তহবিল
পায়।’
একই দপ্তরে গতকাল অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বিদায়ী সৌজন্য সাক্ষাৎ
করেন জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোইয়াসু ইজুমি। অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে
জানায়, হিরোইয়াসু ইজুমি বলেছেন জাপান বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে
সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে এবং তিনি আশাবাদী যে বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে না।