খুলনা নগরের শিরোমণিতে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা
ঘটেছে। আজ সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত
হননি।
নগরের খানজাহান আলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন বিস্ফোরণের
অল্প সময় আগে ওই কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান। তিনি বের হয়ে যাওয়ার পর
কার্যালয়ে আর কেউ ছিলেন না।
এই ঘটনার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা–কর্মীরা
তাৎক্ষণিকভাবে খুলনা–যশোর মহাসড়কের শিরোমণি এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করেন।
ঘটনার পরপরই খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল
পরিদর্শন করেন।
স্থানীয়রা জানান, মাগরিবের নামাজের আগে নেতা–কর্মীদের নিয়ে দলীয়
কার্যালয়ে ছিলেন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ আবিদ হোসেন। তিনি মহানগর
আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় যোগ দেওয়ার জন্য রওনা হওয়ার কিছু সময় পর
কার্যালয়ে বিকট শব্দে বিষ্ফোরণ ঘটে। কার্যালয়ের মধ্যে থাকা চেয়ার, টেবিল
দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলে লোহার টুকরো, ভাঙা বোতল, তারসহ কিছু আলামত দেখা
গেছে।
ওই কার্যালয়ে ছিলেন শিরোমণি উত্তরপাড়ার সুমন গাজী। তিনি বলেন, প্যান্ট
পরা মধ্য বয়সী এক ব্যক্তি দলীয় কার্যালয়ের মধ্যে একটি ব্যাগ রেখে টয়লেট
করার কথা বলে বাইরে চলে যান। এর এরপরই ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
শেখ আবিদ হোসেন বলেন, তিনি দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে খুলনার উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে ওই ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে যান।
খানজাহান আলী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে
বিস্ফোরণের আলামত পাওয়া গেছে। তবে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট বিষয়টি
পরীক্ষা–নিরীক্ষা করার পর বিস্তারিত জানানো যাবে।
এর আগে ১৯৯৭ সালে ওই কার্যালয়ের সামনে বোমা হামলায় মঞ্জুরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি নিহত হন।