বাড়ি
নির্মাণের জন্য মাটি খোঁড়ানোর কাজ করাচ্ছিলেন উৎকর্ষ নামের এক মিষ্টি
বিক্রেতা। খোঁড়ার একপর্যায়ে শ্রমিকেরা একটি পাত্র দেখতে পান। আগ্রহ থেকে
আরও বেশ কিছুটা খোঁড়ার পর পাওয়া যায় তিনটি পাত্র। পাত্রগুলো খুলে পাওয়া
গেছে সোনা-রুপার গয়না। পুলিশ বলছে, গয়নাগুলোর মূল্য ২৭ লাখ রুপির কাছাকাছি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনাটি
ঘটেছে ভারতের উত্তর প্রদেশের হার্দই জেলার সান্ডি এলাকায়। গত বৃহস্পতিবার
মাটির নিচ থেকে গয়নাভর্তি পাত্রগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। তবে যাঁর জমি থেকে
গয়নাগুলো পাওয়া গেছে, সেই মিষ্টি বিক্রেতা উৎকর্ষ কিন্তু গয়নাগুলোর মালিক
হতে পারছেন না। আইন অনুযায়ী গয়নাগুলো জব্দ করে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে
পুলিশ। এরপর সেগুলো জেলা প্রশাসকের হেফাজতে দেওয়া হয়। লক্ষ্ণৌর
আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার (এএসআই) দপ্তরেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধার করা পাত্রগুলো থেকে ৬৫০ গ্রাম সোনা ও ছয় কেজির
মতো রুপার গয়না উদ্ধার করা হয়েছে। গয়নাগুলো ১০০ বছরের বেশি সময়ের পুরোনো
বলে ধারণা করছে পুলিশ। গয়নাগুলো নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার ব্যাপারে হার্দই
পুলিশের কর্মকর্তা অলোক প্রিয়দর্শী বলেন, ‘যাঁর বাড়িতে গয়নাগুলো পাওয়া গেছে
তাঁর কাছে উপযুক্ত কাগজপাতি না থাকায় গয়নাগুলো জব্দ করা হয়েছে।’
মাটি খোঁড়ার কাজ করা এক শ্রমিক বলেছেন, ‘মাটি খুঁড়ে গয়না পাওয়ার বিষয়টি
পুরো গ্রামে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। একবার দেখার জন্য দলে দলে লোকজন এসে ভিড় করতে
শুরু করে। সোনার গয়নার পাশাপাশি রুপার গয়নাও পাওয়া গেছে। পরে পুলিশকে খবর
দেওয়া হয়।’
অলোক প্রিয়দর্শী জানিয়েছেন, উদ্ধারের পর গয়নাগুলো স্থানীয় একটি
জুয়েলারির দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়। দোকানের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উদ্ধার
করা গয়নাগুলোর আনুমানিক মূল্য ২৭ লাখ রুপি। অলোক প্রিয়দর্শী বলেন, ‘৬৫০
গ্রাম সোনা উদ্ধার করা হয়েছে, যার আনুমানিক মূল্য ২৩ লাখ রুপি। আর ছয় কেজি
রুপার গয়নার দাম প্রায় ৪ লাখ রুপি।’
হার্দইয়ের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট পুলকিত খারে জানিয়েছেন, গয়নাগুলোর
প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য বিচার করতে আগামীকাল সোমবার নিজস্ব দল পাঠাবে এএসআই।
ততক্ষণ পর্যন্ত গয়নাগুলো তাঁদের হেফাজতেই থাকবে।