হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৃথক তিনটি ঘটনায় আট হাজার পিস
ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়েছে। পাচারের অভিযোগে এক নারীসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার
করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। শুক্রবার বেলা দেড়টা
থেকে তিনটার মধ্যে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার তিনজন হলেন
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ফারজানা আক্তার, বরিশালের হিজলা উপজেলার
মো. ইয়ামিন ও রাজধানীর শ্যামপুরের শরিফুল ইসলাম।
বিমানবন্দর এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশনস অ্যান্ড মিডিয়া)
আলমগীর হোসেন বলেন, শুক্রবার বেলা দেড়টার দিকে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ
টার্মিনালের বহিরাঙ্গন থেকে ফারজানা আক্তারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেহ
তল্লাশি করে ২০টি এয়ারটাইড প্যাকেটে এক হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। বেলা দুইটার
দিকে মো. ইয়ামিনকে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের বহিরাঙ্গনের পুকুর
পাড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেহ তল্লাশি করে পাওয়া যায় চার হাজার
ইয়াবা। আর বেলা তিনটার দিকে মো. শরিফুল ইসলামকে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ
টার্মিনাল–সংলগ্ন গণশৌচাগারের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর শরীর
তল্লাশি করে তিন হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়।
আটক তিনজনের মধ্যে মো.
ইয়ামিনের নামে যাত্রাবাড়ী থানায় ইয়াবা পাচারের আরও একটি মামলা আছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক তিনজন নিজেদের ইয়াবার বাহক বলে দাবি করেন। এসব
ইয়াবা মূল মালিকের প্রতিনিধির তাঁদের কাছ থেকে সংগ্রহ করার কথা ছিল বলে
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর বলেন, গ্রেপ্তার ফারজানা আক্তারের বাড়ি
কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ব্যাপারী হাটে। ইয়ামিনের বাড়ি বরিশালের
হিজলা উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে ও শরিফের বাড়ি রাজধানীর শ্যামপুরের দক্ষিণ
মীর হাজিরবাগ এলাকায়। তাঁদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য
নিয়ন্ত্রণ আইনে পৃথক তিনটি মামলা করা হয়েছে।