বেতন নিয়ে বিরোধে ৪৮ ঘন্টার ধর্মঘট শুরু করেছেন বৃটিশ এয়ারওয়েজের সব পাইলট।
এর ফলে এই বিমান সংস্থার প্রায় সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। এতে অনাকাঙ্খিত
বিড়ম্বনার শিকারে পরিণত হয়েছেন হাজার হাজার যাত্রী। লন্ডন থেকে এ খবর দিয়ে
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, আজ সোমবার থেকে এই ধর্মঘট শুরু করেছেন
পাইলটরা। বৃটিশ এয়ারওয়েজের পাইলটদের এটাই প্রথম ধর্মঘট। তাদের সংগঠন বৃটিশ
এয়ারলাইন পাইলট এসোসিয়েশনস গত মাসে একটি নোটিশ দিয়েছিল এই বিমান সংস্থাকে।
তাতে সেপ্টেম্বর মাসে তিন দিনের জন্য অ্যাকশনে যাওয়ার সতর্কতা দিয়েছিল
তারা।
এর অংশ হিসেবে সোমবার শুরু হয়েছে ধর্মঘট। এ বিষয়ে বৃটিশ
এয়ারওয়েজ একটি বিবৃতি দিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বৃটিশ এয়ারলাইন পাইলট
এসোসিয়েশনসের ধর্মঘটে যে হতাশা ও বিঘœ ঘটেছে, এতে যাত্রীদের কষ্ট হচ্ছে,
এটা আমরা অনুধাবন করতে পারছি। আমরা অনেক মাস ধরে বেতন নিয়ে বিরোধ সমাধানে
চেষ্টা করে এসেছি। কিন্তু তা এ পর্যায়ে আসার জন্য আমরা চরমভাবে দুঃখ প্রকাশ
করছি। দুর্ভাগ্যজনক হলো, বৃটিশ এয়ারলাইন পাইলট এসোসিয়েশনস বলেনি কোন কোন
পাইলট ধর্মঘটে যাবেন। এ জন্য আমাদের পক্ষে এটা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি যে,
তাদের কতজন কাজে যোগ দেবেন অথবা কোন বিমানটি চালানোর জন্য কে
যোগ্যতাসম্পন্ন। এ জন্য আমাদের কাছে আর বিকল্প ছিল না। তাই সব ফ্লাইটের
শতকরা প্রায় শতভাগই বাতিল করা হয়েছে।
ওদিকে সোম ও মঙ্গলবারের
ধর্মঘটের পরে আবার একই রকম কর্মসূচি রয়েছে ২৭ শে সেপ্টেম্বর। এমন অবস্থায়
আরো আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করেছে উভয় পক্ষ। বৃটিশ এয়ারলাইন পাইলট
এসোসিয়েশনসের দাবি বৃটিশ এয়ারওয়েজ যে লাভ করছে ব্যবসায়, তা থেকে পাইলটদেরকে
আরো বেশি পরিমাণ শেয়ার দিতে হবে। তবে এ দাবিতে ধর্মঘটে যাওয়া অযৌক্তিক বলে
মন্তব্য করেছে বৃটিশ এয়ারওয়েজ। তারা বলেছে, টাকা পয়সা নিয়ে এমন ধর্মঘট
অন্যায়।
ওদিকে বিমান সংস্থা ও পাইলটদের মধ্যে এই বিরোধের ফলে
দুর্ভোগে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী। তাদেরকে বিকল্প ভ্রমণ ব্যবস্থা খুঁজে
নিতে হচ্ছে। ধর্মঘট শুরু হওয়ার আগে বিমান সংস্থাটি যাত্রীদের সঙ্গে যেভাবে
যোগাযোগ করেছে তা নিয়েও ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
বৃটিশ এয়ারলাইন
পাইলট এসোসিয়েশনসের জেনারেল সেক্রেটারি ব্রায়ান স্ট্রাটন বিবিসি রেডিওকে
বলেছেন, ৯ মাস ধরে আমরা এই বিরোধ মিটানোর জন্য খুব বেশি চেষ্টা করেছি।
কিন্তু আমাদেরকে দুঃখজনকভাবে এই অবস্থানে এসে পৌঁছাতে হয়েছে। তিনি বলেছেন,
তারা সমঝোতা করতে আগ্রহী। কিন্তু ছাড় দিতে প্রস্তুত নয় বৃটিশ এয়ারওয়েজ।