স্পিন জাল পাতা হবে তা আগেই জানা ছিল। প্রথম দিনে সে জাল বিছিয়েই
প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু প্রথম দিনের খেলা শেষে
প্রশ্ন উঠেছে, কতটুকু ফাঁসানো গেল? চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম দিনের খেলা
শেষে আফগানিস্তানের স্কোর ৫ উইকেটে ২৭১।
সারা দিনে আট বোলার ব্যবহার করেছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। দলে কোনো
পেসার নেই সে তো ম্যাচ শুরুর সময়ই জানা ছিল। সাত স্পিনারের সঙ্গে মিডিয়াম
পেসার সৌম্য সরকারকে দিয়েও বল করিয়েছেন সাকিব। উইকেট না পড়ায় দ্বিতীয় সেশনে
জুয়া খেলেছেন মুমিনুলের হাতে বল তুলে দিয়েও। কিন্তু সাতজন বোলার মিলে সারা
দিনে মাত্র ৫ উইকেট তুলতে পারায় প্রথম দিনটা তো আফগানিস্তানেরই।
সকালের সেশনটা ভালোই কেটেছিল বাংলাদেশের। ৩টি উইকেট তুলে নিয়েছিলেন
স্পিনাররা। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে জমাট ব্যাটিং করে পাশার দান উল্টে দিতে
শুরু করে আফগানিস্তান। এ সেশনে সফরকারিদের কোনো উইকেট ফেলতে পারেনি
বাংলাদেশ। দিনের শেষ সেশনের শুরুতে আফগান ব্যাটসম্যান রহমত শাহ সেঞ্চুরি
তুলে নেওয়ার পরই আউট হন। তাঁকে তুলে নেন নাঈম হাসান। টেস্টে আফগানিস্তানকে
প্রথম সেঞ্চুরি এনে দিয়ে ইতিহাসের অংশ হয়ে যান রহমত। ওই ওভারেই মোহাম্মদ
নবীকে তুলে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নাঈম হাসান। এরপর আর উইকেট
পড়েনি। আসগর আফগান ও আফসার জাজাই মিলে ষষ্ঠ উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ৭৪ রানের
জুটিতে দিন পার করেন। ৮৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন আসগর আফগান।
দুটি জুটিতে ভর করে প্রথম দিনটা নিজেদের করে নিয়েছে আফগানিস্তান।
আফগান-জাজাইয়ের জুটির আগে ভিত গড়েছিলেন রহমত শাহ ও আফগান। চতুর্থ উইকেটে
১২০ রানের জুটি গড়েন দুজন। এ পথে টেস্টে আফগানিস্তানকে প্রথম সেঞ্চুরিও
উপহার দিয়েছেন রহমত। সকালের সেশনে বাংলাদেশ প্রথম সাফল্যও পেয়েছে তাইজুলের
হাত ধরে। ১৩তম ওভারে আফগান ওপেনার ইহসানউল্লাহকে বোল্ড করেন বাঁহাতি এ
স্পিনার। টেস্টে এটি তাঁর শততম উইকেট। ২৫তম ওভারে এসে আরেক ওপেনার ইব্রাহিম
জাদরানকেও তুলে নেন তাইজুল। লং অফে তাঁর ক্যাচ নেন মাহমুদউল্লাহ। ৩২তম
ওভারে হাশমতউল্লাহকে ফিরিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ।
প্রথম দিনে বাংলাদেশের সেরা বোলার তাইজুল। সর্বোচ্চ ৩১ ওভার বল করে ২.৩৫
গড়ে রান দিয়ে ২ উইকেট নেন তিনি। নাঈম ১৩ ওভারে ৪৩ রানে নিয়েছেন ২ উইকেট।