রাজশাহীর কোটিপতিরা দেশ ছেড়ে পালানো শুরু করেছেন। এরই মধ্যে অনেকে দেশ
ছেড়েছেন এবং আরও অনেকে দেশ ছাড়ার চেষ্টায় আছেন। জানা গেছে, এসব কোটিপতির
মধ্যে রয়েছেন আন্ডারওয়ার্ল্ডের নেতা, মাদক ব্যবসায়ী, ঠিকাদারি ও বালুমহালের
নিয়ন্ত্রক, চাঁদাবাজ। তাদের মধ্যে কেউ কেউ ভ্রমণ ভিসা, ওমরা ও ব্যবসায়ী
ভিসা নিয়ে এরইমধ্যে দেশ ছেড়েছেন। যেমন সিঙ্গাপুরে গেছেন নগর আওয়ামী লীগের
আরেক নেতা মঞ্জুর রহমান পিটার। অভিযোগ অনুযায়ী, বেন্টু রাজশাহী অঞ্চলে
বালুমহালের নিয়ন্ত্রণ করে এখন অঢেল সম্পদের মালিক। আর পিটার দীর্ঘদিন ধরে
রয়েছেন পরিবহন সেক্টরের নিয়ন্ত্রক। আরও জানা গেছে, রাজনীতি সঙ্গে জড়িতরা
ছাড়াও দেশ ছেড়েছেন গোদাগাড়ীর সিঅ্যান্ডবি গড়ের মাঠ এলাকার হযরত আলী ও
মাটিকাটা এলাকার সোহেল রানা। এক খবরে জানা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনীর অভিযান থেকে বাঁচতে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্রের
অন্যতম সদস্য শীষ মোহাম্মদ ভারতে পাড়ি জমানোর জন্য চেষ্টা করছেন। শীষ
মোহাম্মদ বাংলাদেশের মধ্যে শীর্ষ ১০ জন মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে অন্যতম একজন।
তিনি বছর পাঁচেক আগে রাজশাহী শহরে এসে আসর গেঁড়ে বসেন। এরপর তিনি রাজশাহী
মহানগর আওয়ামী লীগের একজন সহ-সভাপতি থেকে শুরু করে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক
লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। শত শত কোটি টাকার
মালিক এই মাদক ও জাল টাকার কারবারি শীষ মোহাম্মদের রাজশাহী শহরে রয়েছে
একাধিক বাড়ি। চড়েন পাজেরো গাড়িতে। কয়েকদিন ধরে দেশব্যাপী অবৈধ টাকার
মালিকদের ধরপাকড় শুরু হওয়ার পর তিনি এখন ভারতে পালানোর চেষ্টা করছেন। একটি
গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানায়, শীষ মোহাম্মদ এরই মধ্যে দুইবার ভারতীয় ভিসা
পেতে আবেদন করেন। তবে দুইবারই তার আবেদন নাকচ হয়েছে। তারপরেও তার ভিসা পেতে
চলছে নানা তদবির। এদিকে অপর কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, গোদাগাড়ীর অন্য
শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হযরত আলী, মহিশালবাড়ি এলাকার হেলালুদ্দিন, সেলিম,
মাদারপুর এলাকার নাজিবুর রহমান, ডাইংপাড়া এলাকার হায়দার আলী, মাদারপুর
এলাকার টিপু, ডাইংপাড়া এলাকার আনারুল ইসলাম, মাদারপুরের তোফাজ্জলসহ অন্যরা
এরইমধ্যে গা ঢাকা দিয়েছেন। গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর
আলম বলেন, শীষ মোহাম্মদ, সোহেল রানাসহ আরও অনেক মাদক ব্যবসায়ী এলাকাছাড়া
রয়েছেন। তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর চলছে।