ফাইনালে নিশ্চিত কওে আগেই টানা চতুর্থবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের
টিকেট চূড়ান্ত করেছিল বাংলাদেশ। ফাইনালে থাইল্যান্ডকে উড়িয়ে অপরাজিত থেকে
বাছাইপর্ব শেষ করল সালমা খাতুনের দল। শনিবার ফাইনালে তারা ৭০ রানে হারিয়েছে
প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা থাইল্যান্ডকে।
ডান্ডির
ফোর্টহিলে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। সানজিদা ইসলামের
হাফসেঞ্চুরিতে ৫ উইকেটে ১৩০ রান সংগ্রহ করে টাইগ্রেসরা। বোলারদের নৈপুণ্যে
থাইদেও ইনিংস থামে ৬০ রানে।
গত বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ফাইনালে আয়ারল্যান্ডকে
হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। এবারও তারা টুর্নামেন্ট সেরা হয়ে
চতুর্থ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে। সিডনিতে আগামী ২১ ফের্রুয়ারি থেকে শুরু হবে
বিশ্বমঞ্চের লড়াই। উদ্বোধনী দিনের ৩ দিন পর ২৪ ফের্রুয়ারি পার্থের ওয়াকায়
বাংলাদেশ প্রথম ম্যাচ খেলবে ভারতের বিপক্ষে। ‘এ’ গ্রুপে তাদের অন্য
প্রতিপক্ষ বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা।
বাছাইয়ের
ফাইনালে আগে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় বাংলাদেশ। প্রথম ১০ ওভারে
কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৮ রান তোলেন মুরশিদা খাতুন ও সানজিদা। ৪টি চারে ৩৩
রান করা মুরশিদার বিদায়ে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এরপর দলকে একাই টানেন
সানজিদা। ৬টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৬০ বলে ৭১ রান করে অপরাজিত থাকেন ডানহাতি এই
ব্যাটার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি তার প্রথম ফিফটি। প্রথম ফিফটিতেই
দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের মালিক বনে গেলেন সানজিদা। আগের
রেকর্ডটি ছিল ফারজানার, ৬৬ রান।
থ্যান্ডের পক্ষে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নেন নাতায়া বুচাথাম। একটি করে পান সোরনারিন টিপোচ ও সুলিপরন লাওমি।
১৩১
রানের লক্ষ্য দিয়ে নাহিদা আক্তারের বোলিংয়ে শুভ সূচনা করে বাংলাদেশ। এই
বাঁহাতি স্পিনার তার প্রথম দুই ওভারে উইকেট নেন। এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠতে
পারেনি থাইল্যান্ড। ৭ রানে ২ উইকেট হারানো দলটি শেষ দিকে শায়লা শারমিনের
ডানহাতি স্পিনে কাবু হয়। ১৭তম ওভারে ৪১ রানে ৭ উইকেট হারায় থাইল্যান্ড।
এরপর আর কোনও উইকেট না হারালেও লড়াইয়ে ফিরতে পারেনি তারা। কেবল ওংপাকা
লিয়েঙ্গপ্রাসার্ট (১১) ও রাতানাপরন পাদুঙ্গলার্দ (১৫) দুই অঙ্কের ঘরে রান
করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে দুটি করে উইকেট নেন নাহিদা ও শায়লা। একটি করে
পান সালমা খাতুন ও খাদিজা তুল কুবরা। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন সানজিদা।