রাজশাহীর ওপেনার মিজানুর রহমান তাঁর দুই সতীর্থ সাব্বির রহমান আর
জুনায়েদ সিদ্দিকির সঙ্গে একটা হাস্যোজ্জ্বল সেলফি পোস্ট করছেন ফেসবুকে।
সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘জুনায়েদ ভাই সিজিপিএ ১১.২, আমার সিজিপিএ ১১.৬।’
পরীক্ষা পাশের এ আনন্দ আছে ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলা আরও অনেক
ক্রিকেটারের। মিজানুর রসিকতা করে ‘সিজিপিএ’ বলছেন বটে, তবে এটি আসলেই এবার
বেশ গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে ক্রিকেটারদের কাছে। বাংলাদেশ
ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) শর্ত বেঁধে দিয়েছে, জাতীয় লিগ খেলতে হলে ফিটনেসের
পরীক্ষায় (বিপ টেস্ট) ‘১১’ পেতে হবে। সেই পরীক্ষার প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে
আজ। এই পরীক্ষায় বেশির ভাগ ক্রিকেটারই উত্তীর্ণ হয়েছেন। তবে ‘ফেল’ করেছেন
অনেক তারকা ক্রিকেটার।
আবদুর রাজ্জাক, মোহাম্মদ আশরাফুল, নাসির হোসেন, ইলিয়াস সানিদের কেউ বিপ
টেস্টে ‘১০’ পেরোতে পারেননি। বেশির ভাগ ৯-এর ঘরে আটকে গেছেন। বিপ টেস্টে
প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল না করলেও আশরাফুল আশাবাদী সামনের এক সপ্তাহে অনুশীলন
করলে কাটিয়ে উঠতে পারবেন ফিটনেসের এ ঘাটতি, ‘আমি ৯.৭ পেয়েছি। সাত-আট দিন
অনুশীলন করলে আশা করি আরও উন্নতি করতে পারব। তবে এই উদ্যোগ ইতিবাচক, এটিই
হওয়া উচিত। আজ বেশির ভাগই ১০.৫ থেকে ১১ দিয়েছে। এই উন্নতিটা হয়েছে ফিটনেসের
এই বাধ্যবাধকতার থাকার কারণেই।’
বিসিবির নির্বাচক হাবিবুল বাশারও খুশি খেলোয়াড়দের ফিটনেসের উন্নতি নিয়ে,
‘এটা গতবারও ছিল, এবার আগে থেকেই বলা হয়েছে। তবে মানদণ্ডটা আগের বারের
চেয়ে বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানোর কারণেই একটু আলোচনা হয়েছে। তবে বেশির ভাগ
খেলোয়াড়ই এটাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছে। এটা আমাদের ক্রিকেটের জন্যই ভালো।
ঢাকার বাইরের ফল আমরা এখনো পাইনি, তবে ঢাকায় যারা দিয়েছে তাদের ৯৬ ভাগই পাশ
করেছে।’
আজ যাঁরা বিপ টেস্টে ‘১১’ পাননি, তাঁদের সামনে আরও সুযোগ থাকছে। যতক্ষণ
না বেঁধে দেওয়া মানদণ্ডে পৌঁছাতে পারবেন না খেলোয়াড়েরা, ঘরোয়া প্রথম
শ্রেণির ক্রিকেট খেলতে হলে তাঁকে ততবারই এই ফিটনেস পরীক্ষা দিতে হবে।
হাবিবুল তাই বলছেন, ‘এ সুযোগটা সবার জন্যই থাকছে। যতক্ষণ সে ওই লেভেলে
পৌঁছাতে না পারছে আমরা তার বিপ টেস্ট নেব। দ্বিতীয়বার, তৃতীয়বার যতবার লাগে
নেব। আমরা যদি বলে দিতাম যে লক্ষ্যটা এমনি এমনি দেওয়া, সে ক্ষেত্রে এতটা
গুরুত্ব দিত না ক্রিকেটাররা। এখন কী হলো সবাই অন্তত একটা পর্যায়ে গিয়েছে,
চেষ্টা করেছে। বুঝতে পেরেছে যে তাদের উন্নতি করতে হবে।’