বগুড়ায় করতোয়া নদীতে ভেসে যাচ্ছে টাকা। আর এই টাকা কুড়াতে হুড়মুড় খেয়ে
মানুষ শতাধিক মানুষ ঝাঁপিয়ে পড়লেন নদীর পঁচা পানিতে। গতরাত ৯ টার দিকে
শহরের চেলোপাড়া করতোয়া ব্রিজের নিচে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সোমবার
রাত ৯টার পর শহরে গুজব ছড়িয়ে পড়ে করতোয়া নদী দিয়ে টাকা ভেসে যাচ্ছে।
মূহুর্তের মধ্যে শত শত মানুষ ভিড় জমায় ফতেহ আলী মোড়ে করতোয়া নদীর ব্রিজে।
সংবাদ পেয়ে অসংখ্য সংবাদকর্মী ও পুলিশ সদস্যরাও উপস্থিত হন সেখানে।
কিন্তু
প্রত্যক্ষদর্শী কাউকে পাওয়া যায়নি ঘটনাস্থলে। সবাই বলছিলেন, অনেকেই নদী
থেকে টাকা তুলে নিয়ে গেছে বলে শুনেছেন। এরই মধ্যে এক যুবক কয়েকটি ১০ টাকা
এবং দু’টি ১০০ টাকার ভেজা নোট নিয়ে হাজির হন।
কালু নামের ওই যুবক জানান, নদী দিয়ে ভেসে যাওয়া টাকাগুলো সাঁতরে তুলেছেন তিনি। কিন্তু টাকা দেখে উপস্থিত লোকজনের সন্দেহ হলে ওই যুবক কৌশলে সটকে পড়েন। এরই
মধ্যে অনেকেই পকেট সামলানো শুরু করেন। পুলিশ তৎপর হয়ে উঠলে পকেটমারের দলও
পালিয়ে যায়। তবে গুজব ছড়িয়ে পড়ে শহরজুড়ে।
এদিকে বগুড়ায় করতোয়া নদী দিয়ে
টাকা ভেসে যাচ্ছে এমন গুজবে রাতের অন্ধকারে শত শত মানুষের ভিড় জমে নদীর
তীরে। কিন্তু কারও চোখেই পড়েনি টাকা ভেসে যাওয়ার দৃশ্য। তবে শত শত মানুষের
ভিড়ে এক যুবক কিছু ভেজা টাকা নিয়ে হাজির হলে মানুষের জিজ্ঞাসাবাদে ধরা পড়ে
এটি তার সাজানো নাটক।
অনুসন্ধানে জানা যায়, একদল পকেটমার গুজব ছড়িয়ে
লোকজন জড়ো করেন তাদের কাজ হাসিল করার জন্য। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতির
কারণে পকেটমারের দল সটকে পড়ে। এর আগে উৎসুক জনগণের অনেকের পকেটই ফাঁকা হয়ে
যায়।
বগুড়া সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রেজাউল করিম রেজা
বলেন, ঘটনাটি গুজব। টাকা কেউ ইচ্ছাকৃত ফেলে দিয়ে আবার সেগুলো কুড়িয়ে এনে
গুজব রটিয়েছেন।