এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বুয়েট যদি মনে করে, ছাত্ররাজনীতি
নিষিদ্ধ করে দিতে পারে। এটা তাদের ব্যাপার। তবে ছাত্ররাজনীতি পুরোপুরি
বন্ধের বিপক্ষে মত দেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, যেকোনও আন্দোলন-সংগ্রামে
ছাত্ররাই মুখ্য ভূমিকা নিয়েছে। তবে ছাত্ররাজনীতি পুরো নিষিদ্ধের কথা তো
মিলিটারি ডিক্টেটরদের কথা। তারাই এসে এটা নিষিদ্ধ করে, সেটা নিষিদ্ধ করে।
এসময় তিনি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ছাত্রলীগ
সবসময় একটি স্বাধীন স্বতন্ত্র সংগঠন ছিল। তবে নীতি-আদর্শের প্রশ্নে মূল দল
তো কিছু দিকনির্দেশনা দেবেই। জিয়াউর রহমান আসার পর নষ্ট রাজনীতি শুরু
হয়েছে, যেটা শুরু করছিলেন আইয়ুব খান। ছাত্র সংগঠনগুলোকে মূল দলের অঙ্গসংগঠন
করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, নেতৃত্ব উঠে এসেছে ছাত্র নেতৃত্ব থেকে। রাজনীতি
শিক্ষার ব্যাপার, ট্রেনিংয়ের ব্যাপার। আমি নিজেই ছাত্ররাজনীতি করে এসেছি।
দেশের ভালো-মন্দের চিন্তা তখন থেকেই আমার তৈরি হয়েছে। তবে একটা ঘটনার কারণে
পুরো ছাত্ররাজনীতিকে দোষারোপ করা ঠিক হবে না বলে মন্তব্য করেন
প্রধানমন্ত্রী। বলেন, এটা তো রাজনীতি নয়। আবরার হত্যাকাণ্ডে রাজনীতি কোথায়,
এমন প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর পেছনের কারণ খুঁজে বের করতে হবে।