ক্যাসিনো বা জুয়ার জন্য দেশের একটি জায়গা নির্ধারণ করে দেয়ার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে তিনি রোহিঙ্গাদের জন্য নির্ধারিত নোয়াখালীর ভাসান চরের এক পাশে একটি জায়গা নির্দিষ্ট করে দেয়ার কথা বলেন। ক্যাসিনো ও জুয়ার জন্য তিনি নীতিমালা তৈরির কথাও এ সময় বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ক্যাসিনো ও জুয়া খেলে অভ্যস্ত হয়ে গেছে- তাদের কেউ কেউ হয়তো দেশ থেকে ভেগে গেছে। এখানে সেখানে খেলার জায়গা খোঁজাখুঁজি করছে। আমি বলেছি, একটা দ্বীপ মতো জায়গা খুঁজে বের করো, সে দ্বীপে আমরা সব ব্যবস্থা করে দেবো। দরকার হলে ভাসানচর, বিশাল দ্বীপ, এর একপাশে রোহিঙ্গা আরেক পাশে এই ক্যাসিনোর ব্যবস্থা করে দেবো। সবাই ওখানে চলে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন,বাস্তবতার নিরীখে বলছি,অভ্যাস যদি বদঅভ্যাসে পরিণত হয়ে যায়,এই বদভ্যাস যাবে না, বার বার খোঁজাখুঁজি করতে হবে। তাই বার বার খোঁজাখুঁজি না করে একটা জায়গা ঠিক করে দেবো। ভাসানচর খুব বড় জায়গা। অসুবিধা নাই। ১০ লাখ লোকের বসতি দেয়া যাবে। তিনি বলেন, এখন যারা লুকায় চুরায় এটা সেটা করে, তারা সেখানে গিয়ে খেলতে পারবেন। কারা কারা করতে চায় নীতিমালা তৈরি করে লাইসেন্স নিতে হবে। ট্যাক্স দিতে হবে। তারপর সেখানে গিয়ে সবাই মিলে করেন আমাদের কোন সমস্যা নেই। সেই ব্যবস্থা করে দেবো। এতে আমরা ট্যাক্স পাবো তো টাকা পাবো। প্রধানমন্ত্রীর এই মন্তব্যে সাংবাদিক সারির কয়েকজন হেসে উঠলে তিনি বলেন, আমি বাস্তবতাটাই বলছি। পরে প্রধানমন্ত্রী নিজেও হেসে ফেলেন।

ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নে তথ্যমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হলো: সাংবাদিকদের জন্য সম্প্রতি সরকার ঘোষিত নবম ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের ব্যাপারে সংবাদপত্র মালিকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ওয়েজবোর্ডের ব্যাপারে আমাদের যে দায়িত্ব ছিল সেটা করেছি। এখন সংবাদপত্র মালিকরা না দিলে আমরা কী করব? এটি বাস্তবায়নের ব্যাপারে মালিকদেরই দায়িত্ব পালন করতে হবে। এসময় প্রধানমন্ত্রী ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়নের বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, এখন এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রীর ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আমি তাকেই দায়িত্ব দিলাম।